শনিবার, ৭ মে, ২০১১

বিবেকের কাছে প্রশ্ন- ২

চেতনতা মূলত কাউকে শেখানো যায়না। এটা স্রেফ উপলব্ধির বিষয়। আর এ বিষয়টি মানা বা না মানা তার বিবেক তাড়িত বিষয়বস্তু। জানা জিনিসটাকে বাস্তবে রূপ দেয়াই সার্থকতা। সচেতনশীল হতে হলে কাউকে বিশেষগুণে গুণান্নিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। এখানে বলিষ্ঠভাবে একটি বিষয় কাজ করে আর তা হলো সদইচ্ছা। একজন বিবেকবান মানুষ যিনি বোঝার ক্ষমতা রাখেন ভাল আর মন্দের পার্থক্য ওজন করতে পারেন তাকে কেবল ইচ্ছেশক্তি জাগ্রত করে নিজে কাজটি বাস্তবায়িত করতে হবে। মানুষ পৃথিবীর স্রেষ্ঠ জীব। তাকে একথা প্রথমে বিশ্বস করতে হবে। তার স্থানটি নিজের কাছে পরিস্কার করে বুঝে নিতে হবে। জন্মের পর থেকে বোঝশক্তি উদয় হওয়া পর্যন্ত সময়-কাল বাদ দিয়ে শুরু করুন একজন মানুষের যাত্রা। এই যাত্রা সজ্ঞান থাকা পর্যন্ত সীমানা করুন। মহান সৃষ্টিকর্তা যিনি তাঁর কুদরতে সৃষ্টি করেছেন মানুষ জাতি আর মানুষ জাতিকে এই মধ্যবর্তী কালীন সময়টুকু দিয়েছেন একটি পরীক্ষার বলয় হিসেবে। তাকে বুঝতে হবে আমি একজন ছাত্র। ছাত্র মানে শিক্ষার্থী। এখন এই শিক্ষা বা জ্ঞানার্জন করা এবং প্রতিদিন টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা তার একটি প্রধান কাজ এটা তাকে মনে প্রাণে স্মীকার করতে হবে। শুধু স্মীকার করে বসে থাকলে হবেনা তাকে বাস্তবে মাঠে নামতে হবে। এই বিশাল কাজটিই সদইচ্ছার আওতাবদ্ধ। এখন দেখা যাক স্ব ইচ্ছা দ্বারা ঘটিত কাজ কীভাবে সচেতনতায় এসে পড়ে। আমরা প্রতিদিন যে কাজগুলো ঘরে কিংবা বাহিরে করে থাকি সেই স্থানগুলো আমাদের কর্মস্থান হিসেবে চিহ্নিত করুন। ধরুন ঘরের কাজ- আপনার সামনে কলের পানিটা বালতি ভরে উপচিয়ে পড়ছে বা গ্যাসের চুলোটা বিনা কারণে জ্বলছে। আপনি জানেন দুটো জিনিসই অযথা ক্ষতি হচ্ছে। আপনি এও জানেন এই ক্ষতির কারণে আপনি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এমতাবস্থায় আপনি বিবেকবান হলে অবশ্যই এগিয়ে যাবেন এবং রুখে দাঁড়াবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন