গানের খাতা

জানি আমার এ গান গুলো কোনদিন সুর পাবেনা। তারপরও লিখেছি গানের বাণী মনের ভেতর থেকে। যদি কারো এই গান এতটুকুও ভাল লাগে তবে স্বার্থক হবে আমার লিখুনী।


গান (০১) ১৪ জুন ১৯৯৭


খাঁচার পাখি ওড়াল দিয়ে আপন দেশে গেলো
এত আদরের পাখিও আমায় ফাকি দিলো

পাখি মোর ছিল আপন
দেখে ছিলাম সুখের স্বপন
মিছা মায়ায় খেলছি খেলা প্রমানীত হলো।।

পাখিরে খাওয়াইতাম দুগ্ধ-কলা
খোলে দিয়ে খাঁচার তালা গো..
অবশেষে দিয়ে জ্বালা সে নিজে জোড়ালো।।

তাই তোরা কেউ পাখির সনে
করিসনা প্রেম জেনে-শুনে গো..
ঘুরতে হবে বনে বনে ফেলে চোখের জল।।


গান (০২)  ১৪ জুন ১৯৯৭


আমার সোনা বন্ধুর মুখ খানি
আমার প্রান বন্ধুর মুখ খানি
আমি কোথায় গেলে খুঁজে পাবো বল গো সজনী।।

সে যে চলে গেলো আমায় ছেড়ে
আসবে না তো আর
ডাকবে না মোর নামটি বলে
মোর শুধুই হাহাকার
সে যে ফাঁকি দিলো আঁখি মোদে গো... আমার নয়ন খানি।।

আমায় ছিলো সে যে সুখে-দু:খে
পরম আপনজনা
তাকে বিনা আলোর কণা
সখি আমি দেখিনা
তোরা শুনাতে কি পারিস কেহ গো... বন্ধুর মুখের বাণী।।

তার জীবন আমার স্মৃতি
আমি ভুলবো কেমন করে
সে যে আমায় ধোঁকা দিলো
আজ বাসা বাঁধলো দূরে
আমার মন যে এখন ওড়া ওড়া গো... কবে পাবো তার সন্ধানী।।

গান (০৩)  ১৪ জুন ১৯৯৭

(বন্ধু) আজ তোমার বাড়ি আমার বাড়ির মধ্যে গহীন নদী
কী করি জানিনা সাঁতার তাই তীরে বসে কাঁদি।।

কথা ছিল থাকবে পাশে যনম ও যনম
একই বৃন্তে দুটি ফুল হাঁসে ভাই যেমন
আজ তুমি নাই পাশে আমার শুধু কন্দন নিরবদি।

ফুলের মালা গেঁথে রাখি  সেও বাসি হয়ে যায়
তোমার লাগি এই মালাটি অন্যের না হয়
ওলো সখি বন্ধু বিহনে এ ঘর আজি কেমন করে বাঁধি।।

সে যে ছিল মনের ময়না গো
তারে ছাড়া প্রাণ বাঁচেনা গো
বন্ধু ছাড়া কেউ তো নাই লো আমার দরদী।।

গান (০৪)  ৪ জুলাই ১৯৯৭


বন্ধু কোথায় গেলি আমায় ফেলি আমি খুঁজি বনে বনে
তুই বিহনে তোষের আগুন জ্বলছে আমার  মনে
তুই যে ছিলি অন্তরের ধন আমি ভুলি কেমনে।।

আর তো কেহ ডাকে নারে সকাল-সন্ধ্যা-সাজে
তুই যেমন ডাকতি আমায়  সকল কাজের মাঝে
আমি কোথায় শুনবো সেই ডাকুনি রে..........আমি চলব কাহার সনে।

মন যে আমার মানে নারে প্রাণ যে মানে না
কেমনে করে সহি জ্বালা তোরে যে আর পাবনা
এই ভাবনা মোর অন্তরে রে........আমার নিশি-জাগরনে।।

একই ডালে বসা ছিলাম আমরা দুটি পাখি
তুই যে গেলি ওড়াল দিয়ে একলা আমায় রাখি
এখন কেঁদে বেড়াই সারা ভুবন রে............তোরে নিল কোন সমনে।।



___অনেকদিন পর নতুন করে সুরের মূর্ছনা বের হলো মনের গহীন থেকে। যদি কারো ভাল লাগে লাগতেও পারে___




                               গান (০১)  ২৭ জুন ২০১৩ ইং (সম্ভাব্য)

মন তুই বুঝলিনারে গুরু কী ধন
গুরু চরণ পুজলিনা তুই হারাইলি রতন।।

জনম কি তুই পাবি আবার
জল শুকালে কাটবি সাতার
অবহেলায় গেলো সময় নাম হইলো না স্মরন।।

যে নাম নিলে খোদা মিলে
ওই নাম জপো মনে দিলে
অহংকার তোর যাবে চলে হবে শয়তানের পতন।।

এক বাক্যে ঈমান আনো
লা শরীক তাহারে জানো
এ জীবনের আয়ূ ক্ষীণো মনা থেকোনা অচেতন।।





গান (০২)  ২৩ জুলাই ২০১৩ ইং


মনরে ক্বাবা পানে ধেয়ে চলো ক্বাবা চিনলা না
(তুমি) মন ক্বাবাতে একবার নামাজ পড়লা না।

মনের ভিতর আছে ক্বাবা
তালাশ করলে তবেই পাবা
কাছে তোমার মন-মহাজ (সেজন) দূরে থাকে না।।

অন্ধকারে যায় কি দেখা
প্রদীপ বিনে আলোর রেখা
সরল পথটি আঁকাবাঁকা তুমি সরল হলেনা।।

সাধুর চরন ধৌত করলে
মনের ক্বাবা ঘরটি খুলে
আবুল-তাবুল পথ চলিলে পথের সন্ধান পাবা না।।



গান (০৩)  ৭ জুন ২০১৩ ইং


প্রেম কারে কয় প্রেম কারে কয়
গুরু পদে মত্ত হলে প্রেমে শিখা যায়।।

প্রেমের মান নিরিখ ধরন
প্রেমের নাম অনুসরন
মুর্শিদ চান দয়া করে প্রেম দিয়ে দেয়।।

নাই আমার গুরু মণি
কিসে পাই জ্ঞানের খনি
মূর্খ আমি আন্ধা আমি মন কুপথে বেড়ায়।।

অভাগা কান্দিয়া কহে
মন তুমি বুঝলা না হে
তোমার গুনার দিন যে হেলায় ফেলায় যায়




গান (০৪)  ১৩ জুন ২০১৩ ইং


গুরু ভাবো যারে মানো তারে
হৃদ কমলে ফুটলে ওফুল গুছবে দুকুল
ক্ষুধা-তৃষ্ণা রবে নারে গুরু গুর ডাকো তারে।।

প্রেমের সুতায় বাঁধো ও নাম
ইহলোকে হোক বদমান
ছেড়ো না ছেড়ো না তারে গুরু গুরু ডাকো তারে।।
অন্তরে অন্তর যামি
বসে আসেন ভব স্বামী
গুরু নাম জপিলে তুমি
আপনি পাবে আপনারে গুরু গুরু ডাকো তারে।।

মনে পোষে লোভ হিংসা
মিছে তোমার সকল আশা
ছেড়ে সকল ভবের নিশা
বারে বারে ডাকো তারে যে আছে বাহিরে ভিতরে।।




গান (০৫)  ২৭ জুলাই ২০১৩ ইং


ভাবিয়া পাগলে কয়
আপন আপন কেহ নয়
সাঙ্গ করে ভব লীলা
যাইবা আবার কোথায়।

আইছো একা যইবা একা
মাঝ পথে ক্ষনিক দেখা
পাইলা তাতে ক্ষনিক সখা
আসলে কেউ করো নয়।।
ভাবিয়া পাগলে কয়
আপন আপন কেহ নয়....

দুই দিনের এই দুনিয়া
নয় কিছু দেখো ভাবিয়া
মরলা শুধু হাপাইয়া
কাজের কাজ তো কিছু নয়।।
ভাবিয়া পাগলে কয়
আপন আপন কেহ নয়....

হুশের ঘরে নাই বাতি
কবরে কি পাইবা সাথী
সামনে জানি কী হয় গতি
রইলা পড়ে কার আশায়।।
ভাবিয়া পাগলে কয়
আপন আপন কেহ নয়....




গান (০৬)  ২৯ জুলাই ২০১৩ ইং

আমার ভিতর যে কথা কয়
(তারে) ধরি কেমন করে
ধরা যায়না ছোঁয়া যায়না
দেখা দেয়না মোরে।

সারা জীবন কেটে গেলো
আমার আমার করে
ঘর-বাড়ি-বিষয়-সম্পদ
আমার আমি নারে।।

কী দাম আছে এ সংসারে
দেহের বায়ূ গেলে ওড়ে
অবুঝ এ মন বুঝতে নারি
মিছার গরব করে।।

থাকতে দেহের বায়ূ ও তাপ
ওজন করো পূন্য ও পাপ
ঠান্ডা হলে বদনের তাপ
লাভ হবে নারে।।

নিজের কাছে হয়না খবর
মুর্শিদ ধরে করো খবর
নজরেতে রাখো নজর
চলো মুর্শিদের বাজারে।।

মুর্শিদের দ্বীন ও দয়ায়
নিজের দেহে নিজের কায়ায়
আপন প্রভু বাঁধবে মায়া
পাঁকা-পুকতো করে।।

গান (০৭)  ৩০ জুলাই ২০১৩ ইং




মন আমার মানিক-রতন চিনেনা
বস্তা ভরা  চান্দি-সোনা
দস্তা ভেবে খুলে না।

দিবা-নিশি ভূতের পূজা
কিসের নামাজ কিসের রোজা
কানে নেশার বিড়ি গুঁজা
নেশায় তারে ছাড়েনা।।

ডাকলে তারে খোদার পথে
সময় খুঁজে পায়না তাতে
টাল-বাহানা রোজ প্রভাতে
ভাল কথা শুনেনা।।

নিজের খেয়ে নিজের পরে
আর কত বুঝাবে কে-রে
নিজের বোঝ নিজে নে-রে
সময় ঘুরে আসেনা।।



গান (০৮)  ৩১ জুলাই ২০১৩ ইং





প্রেমো-ভক্তি না হইলে পাবে কী তাহারে
মাটির দেহ খাঁটি হয় প্রেম অনলে পুড়ে।

প্রেম বিহনে সাধন-ভজন
বৃথায় যাবে মানব জীবন
প্রেমো বৃক্ষ করো রোপন
হৃদয়ের মাঝারে।।

খাঁটি প্রেমের প্রেমিক হলে
দিলের পর্দা যাবে খুলে
নূরের বাতি ওঠবে জ্বলে
অন্ধকার ওই ঘরে।।

পূজো আপন গুরুর চরণ
জলে-স্থলে রাখো স্মরণ
ভয় কী তোমার হইলে মরন
নামের দামান ধরে।।



 গান (০৯)  ৩ আগস্ট ২০১৩ ইং




সাঁই আমার কী খেলা খেলায়।।


ঢাকা আছে সংগোপনে
দেখা যায়না দুই নয়নে
জ্ঞানের জ্যোতি উদয় হলে
আধার কেটে যায়।।
সাঁই আমার কী খেলা খেলায়।।

ক্বলব্‌ জিন্দা হয়ে গেলে
অমূল্য ধন তবেই মিলে
অন্ধকার থাকেনা দিলে
বলেন খুদ খোদায়।।
সাঁই আমার কী খেলা খেলায়।।

সেথায় যদি চাও যেতে মন
ভজো সাধুর দুটি চরণ
দিবা-নিশি রাখো স্মরণ
মনের মণি কুঠায়।।
সাঁই আমার কী খেলা খেলায়।।



 গান (১০)  ৫ আগস্ট ২০১৩ ইং




মন আমার পড়লো বিষম শয়তানের ধোঁকায়
আল্লা-রাসুল ভুলে গিয়ে মজলো কোন নেশায়।।

মহাজনের খেয়ে পরে
তারই নাফরমানি করে
এই ভাবে কী জীবন ভরে
বাটপারি করা যায়।।
মন আমার পড়লো বিষম শয়তানের ধোঁকায়...

মিছে কথা ঠগবাজিতে
দিনের শুরু ধোঁকা দিতে
জানোনা মন ওই ধোঁকাতে
নিজেই পড়তে হয়।।
মন আমার পড়লো বিষম শয়তানের ধোঁকায়...

ছাড়ো তোমার ভেলকিবাজি
আসল কাজে হও না রাজি
বেটা ভালো  বেটাই পাজি
বুঝবে শেষ বেলায়।।
মন আমার পড়লো বিষম শয়তানের ধোঁকায়...



গান (১১)  ৫ জুলাই ২০১৩ ইং




প্রভু তোমার নাম জপিতে 
পারিনা এই অধম
কী নামে ডাকিলে খুশি 
তোমার রাঙ্গা মন।।

পাপি আমি পাপে ডুবে থাকি
নেশায় কাটে দিন-রজনী কোথায়া বা কী
তবু তুমি দয়া করে 
আলো-বাতাস দাও সারাক্ষন

প্রভু তোমার নাম রহমান রহিম
করিম ও জব্বার তুমি অনন্ত অসীম
ওই নামে ডাকি তোমায় 
করো মোর হৃদয়ে আসন


 গান (১২)  ৮ আগস্ট ২০১৩ ইং




মর্ম মূল কাটিয়া দিলে
শাখা মূলের জোড় কোথায়
অন্তরে বীজ বুনেছিলাম
প্রেম-প‌্রীতি-ভালবাসায়।।

বীজ বুনিলাম বৃক্ষ হলো
গাছে ধরলো ফল
কী সুন্দর দেখিতেছিলো
রসে টলমল।।
সে ফল খাইবো বলে ভেবেছিলাম
সে আর হলো কোথায়া।।

যতন করে মনের ঘরে
পুষিলাম তারে
বনের পাখি পোষ মানেনা
বুঝিলাম পরে।।
পাখি খাঁচা ভেঙ্গে গেলো ওড়ে
কাঁদে আমার মনোরায়।।

বুঝলো নারে ওইনা পাখি
মনের গহীন ঘর
ভালোবাসা ছিলো শুধু
অন্তরের ভিতর।।
এবার ভেবে বলে এই পাগলে
পড়িসনা কেউ প্রেম কূয়ায়।



গান (১৩)  ৯ আগস্ট ২০১৩ ইং



সব থাকিতে সব হারালে
দাদারে মিলিবে এই কপালে সেই গোপাল
প্রেম যমুনায় ঝড় ওঠিলে ধরিস মাঝি হাল।।

যা আছে তোর সোনাদানা
রং মহল আর বালাখানা
মিটাও সকল লেনাদেনা
মোহ-মায়া ছেড়ে দিয়ে ওড়াও নবীর পাল।।


মাল বোঝাই করিয়া নায়ে
যাও মাঝি ভাই বৈঠা বেয়ে
কাঁপিয়ো না স্রোতের ভয়ে
ঝড়-তুফান দেখিয়া তরি করিও শামাল।

এই তরণীর আগে-পিছে
ডাকাতিরা লুকিয়ে আছে
সুযোগ পেলে নিবে খিচে
মাঝি তোমার পাটাতনে রাখিও খেয়াল।।



 গান (১৪)  ১১ আগস্ট ২০১৩ ইং


ওহে প্রভু দয়াময়
আর কত ব্যথা দিবে গো আমায়
আমি সহিতে পারিনা ব্যথা
বুক ভেঙ্গে যায়।।

তুমিই জানো অন্তরযামি
কী ব্যথায় পুড়ি গো আমি
দিওনা ব্যথা আর আমারে
প্রভু দয়াময়।।

তারে তুমি দাও বুঝিবার
কী যাতনা হৃদয়ে আমার
আর কতদিন জ্বলিবে অনল
প্রভু দয়াময়।।

ব্যথায় করি হাবুডুবু
চাহিয়া দেখেনা কভু
কী অন্তর দিলে গো তারে
প্রভু দয়াময়।।

দিবানিশি জ্বলে আগুন
জল ঢালিলে জ্বলে দ্বিগুন
কেউ দেখেনা মনের আগুন
প্রভু দয়াময়।।



গান (১৫)  ২০ আগস্ট ২০১৩ ইং

সকল কথা বুঝো তুমি নিজেকেই বুঝলানা
অহংকারে রইলে পড়ে নিজের খবর নিলেনা

যদি আমি তোমায় বলি
সঠিক পথে চলো চলি
জবাব দিলে মুখটি খুলি
আমি সঠিক আছি ফটিক বেঠিক কিছু দেখিনা।।

বলি তোমায় না না ফটিক
যে জন বলে আমি সঠিক
নিজের ভালো নয় বলা ঠিক
অন্যে যারে ভালো বলে সেই তো আসল জনা।।

সঠিক বলে আজাজিলে
ভুল শুধু হয় মানুষ হলে
নত হলে রতন মিলে
এই কথাটি কেনো তুমি বুঝেও বুঝোনা।