স্বরচিত কবিতা

গোলাপ

গোলাপ !
তুমি যে বড়ই অপরূপ
তোমার রঙিলা পাপড়ি দেখে
প্রশ্ন জাগে, কে সেই কারিগর
যে তোমাকে সৃষ্টি করে দিলো এ বাহার।
মহীমা সেই স্রষ্ঠার
আহা কি সুন্দর, কি সুন্দর।
সুন্দরে করিলো সুন্দরী
আরো তাতে সুগন্ধ দিলো ভরি।
কিনা পারেন তিনি
সৃজন করিলেন তোমায় যিনি।
তিনি যে অসীম স্রষ্ঠা, সর্বশক্তিমান
ইহা তার বিন্দু মাত্র দিয়েছেন প্রমান।
রাখেনি একটু খুঁতও ভরেছে কানায় কানায়
আহা কি সুন্দর রূপে সাজিয়েছেন তোমায়।

০৮/০২/১৯৯৪


প্রজাপতি


প্রজাপতি প্রজাপতি রঙ-বেরঙের রঙিত তব শরী
ফুলের সাথে দোস্তি তোমার আজীবন ভরি।
রঙ বেরঙের ফুলের মাঝ চুপিটি করে বসো যখন
ফুলের সাথে খেলা করো তুমি সকাল-সন্ধ্যা বেলায়
সুবাসিত প্রসারিত ওই না বাগের মেলায়।
আমি যদি হতাম ভাই তোমারি মতো
নানা সাজে সেজে ওড়িতাম কতো
কোথায় থাকতো খাওয়া-দাওয়া কোথায় থাকতো ঘুম
নানা বরণ ফুলের মাঝে নাচতাম ঝুমুর ঝুম।

(সম্ভবত ১৯৯৩)


বন্ধুর তরে

বন্ধু, তোমার তরে কেনো পারিনা
হস্তটা করিতে প্রসস্থ
ইচ্ছা আছে তবুও পারিনা
খাঁটু যে মোর হস্ত।
বিধি মোরে দিলো সাধ
না দিলো দৌলত
পুরিলনা আশা মোর মিটেনা আবহায়াত।
তোমার ভালে উজার হোক
যা কিছু মোর আছে
তোমার তরেই বিলিয়ে দেবো
মোর সদায় মনে যাচে।
তোমার চেয়ে আমার বেশি
থাকলে কিছু মোর ঘরে
বুকটা মোর কাদে
আর ব্যাকলতায় মরে।
বন্ধুর তরে বন্ধু্ই আপন
দুঃখ সুখের মাঝে
একেই আমি বলবো স্বর্গ
যা পাবে এমন কাজে।


০৭/০৭/১৯৯৭




আমি কঙ্কাল

আমি এক কঙ্কাল !
আমাকে দেখে ভয়ে কম্পিত
হয়না এমন লোক খুব কম, মুষ্টিমেয়।
আমার ভেংচি কাটা মূর্তিতে
কারো কলিজায় পানি থাকেনা
দেহাবশেষ হয়ে আমি কঙ্কাল হয়েছি !
হিঃ হিঃ হিঃ হাঃ হাঃ হাঃ
কঙ্কাল! আমি কঙ্কাল !
দেহের মলিন আবেশ গলিত পদার্থে
বিলীন করে দিয়ে আমি কঙ্কাল!
ভয়ে দেখছি তোমার গা ছম্‌ ছম্‌ করছে
দাড়াও !
তোমাকে আমি ভয় দেখাবো !
আরো ভয়ের খবর জানাচ্ছি শুনো,
তোমাকে আমার সাথে জড়িয়ে-
থাকতে হবে।
কঙ্কাল ! আমি কঙ্কাল !
কালকে, এইতো গত কালকে
তোমার সাথে আমার কত কথা হলো
আমাকে জড়িয়ে ধরে কত আদর করলে।
যখন আমার গায়ে আবরন ছিলো
তখুন তো আমাকে ভয় পাওনি
তবে, আজকে কেনো এত কম্পিত ?
কঙ্কাল হয়েছি বলে ..... ?
হিঃ হিঃ হিঃ হাঃ হাঃ হাঃ
আমি কঙ্কাল হয়েছি অনেক জ্বলে-পুড়ে,
অনেক কিছু জলাঞ্জলী দিয়ে।
পারবে, পারবে তুমি আমার মতো হতে?
আমি গোরস্থানে থেকেছি, শ্মশান
ঘাটেও স্নান করিছি, আবার কবরে
শুয়েছি !
আমাকে সাদা কাফন দিয়ে
জড়িয়ে দিয়েছিলে, তাই না?
আমার সব মনে আছে।
কিন্তু আমি ! আমি কঙ্কাল হয়ে
বেড়িয়ে এসেছি !
কঙ্কাল হয়েই আমি তোমার
সম্মুখে ঘুরে ঘুরে বেড়াবো
হিঃ হিঃ হিঃ হাঃ হাঃ হাঃ
আমার অট্টহাসিতে ভয়ে লুকাতে চাও.... ?
বুঝেছি ভয় পাচ্ছো, তাই না......?
যখন আমার গায়ে
চামড়ার আবরন ছিলো তখুন তো ভয় পাওনি
আমার গায়ের মাংশগুলো
খয়েছে কারা জানা....?
খেয়েছে শিয়ালে, শকুনে, কুকুরে আর
পিপড়ায়।
ওই...ওই.... ওইযে, ওইযে দেখো যাচ্ছে
লাল-লাল, কালো-কালো পিপড়া
ওরই আমার মাংশ গুলো খেয়েছে।
খুব স্বাদে আমাকে কামড়িয়ে কামড়িয়ে
খেয়েছে। পিপড়াগুলো অবশেষে
চেটে চেটে সব খেয়ে আমাকে
একে বারে সাদা কঙ্কাল বানিয়েছে
কি খুশির বিষয় আমি কঙ্কাল !
আমি কঙ্কাল !
হিঃ হিঃ হিঃ হাঃ হাঃ হাঃ

১৫/০৮/১৯৯৭

 
শুধু পাওয়ার আশায়

নিরবতায়
শূন্যতায়
মন ভরিতে চায়,
একাকীত্বতায়
ভীষণ জ্বালায়
মন মানিতে নাহি চায়।
মন-
সে চায়
শুধু তোমায়.............
তাই প্রাণ ধায়
দখিনা বায়
তুমি কোথায়
বলো আমায়?
তুমি যেথায়
আমি যাবো সেথায়
বাঁধিবো তোমায়
মায়ায় মায়ায়।

চঞ্চলতায়
চটচ্ছায়
বসে দু‌জনায়
গলায় গলায়
ভাসাবো বায়
সুরের মূর্ছণায়।

শরতের নিশায়
হাছনা হেনায়
বরিবো তোমায়
জ্যোস্নায়-জ্যোস্নায়।

বসন্তের কোকিলায়
বারেক ডেকে যায়
মধুর গলায়
আহা! এ মধুর সময়
চলে শুধু যায়-
তুমি কোথায়.............?
অপেক্ষায়
বনো ছায়
শুধু তোমার আশায়।

একি পূর্নতায়
হবে শেষটায়
ব্যর্থতায়
নিষ্ফলতায়
নাকি মিছে ভাবনায়।

তবু প্রাণ চায়
শুধু তোমায়,
প্রজাপতির ডানায়
শত আলপনায়
দেখি তোমায়
মৌণ ভাবনায়।

সাঝের বেলায়
যবে মালতীরা পাপড়ি খুলায়-
সেথাও তোমায়
দেখিতে পায়
মোর মনোরায়।

ভাবি কী মিছায়
না, না, ফুরসত কোথায়
পল্লব-পাতায়
তমাল শাখায়
দোয়েল শ্যামায়
তব গান গায়
আমায় মাতায়
মোরে ঘর ছাড়ায়
মন শুধু ধায়-
তব আঙ্গিনায়।

উর্বী তলায়
কত ভাবনায়
দিন কেটে যায়
শত ব্যস্ততায়
সব ভুলা যায়
শুধু নাহি পারা যায়
তোমার ভুলিবার বেলায়।

কে যেন জানায়
চপলতায়-
একাকী নয়
ভাবো দুজনায়।

পুনঃ তাই
চক্ষু খোলাই
মনো বল পাই
ভাবিতে তোমায়;
আবার কে যেনো থামায়
আমায় ভাবায়
পাবো কি পাবো তোমায়
সদায় তাড়ায়
মোরে সদায় ভাবায়
ভাবি হায়!
স্বপ্ন বুঝি তাই
থাকে সর্বদায়
অলিক স্বপ্নতায়।

স্বপ্নের পাওয়ায়
ভাবি কল্পনায়
তোমায় তাই
বারে বারে জড়াই
যেমন গুল্ম লতায়
লতিয়ে বেড়ায়
বৃক্ষ ডালায়।

তোমাকে চাওয়ায়
মন উথলায়
সদায় সুধায়
আনন্দের বারতায়।

তাই নিরালায়
ভাবি গো তোমায়
এত পাগলপারায়।

যা আছে আমায়
সব দিয়েছি তোমায়
তবু কেনো কল্পনায়
বারে বারে শোনা যায়
কি যেনো দেয়নি তোমায়
হয়তো তাই
মিছে ভাবনায়
ভেবে শুধু যাই
শুধু পাওয়ার আশায়।

ওই শোনায়
বাতাসের গায়
বলিতে ভয়
যদি না পাই তায়!
থাক ইতস্ততায়,
বলেই ফেলি না হয়-
ওটা তোমায়
আর আমায়
জড়িয়ে ওষ্ঠদ্বয়
কোকিলায়
সুর মিলায়।

কত ব্যথায়
ঘিরেছে আমায়
তুমি জানো নাই
তুমি বুঝো নাই
এ-তো হয়
শুধু পাওয়ার আশায়
এখনো কি বুঝো নাই.....?

সেদিন পড়ন্ত বেলায়
সহসায়-
আমায় ভাবায়
তোমার স্মৃতির পাতায়
বলি- ব্যথায় ব্যথায়
পূর্নতায় উপচায়
আর অশ্রুবারি নয়
এবার মন চায়
একখানি আলয়।

শত গীতির মালায়
যদি বাঁধি গো তোমায়
তবু আমায়,
বলিবো হায়!
এ-তো এতটুকুও নাহি হয়
তব চরণ তলায়।

ভাবি বসে একলায়
প্রেম বুঝি তাই
অম্লান রয়ে যায়
আর তাই যদি বা না হয়
তবে কেনো লোক ধায়
তার মোহিনী কোলায়।

ভালবাসায়
যে ডুবে যায়
পৃথিবী তাহায়
স্বপ্নিল দেখায়
সে বলিতে চায়
শুধু তাই-
আমি যেতে চাই সেথায়
রুখে কেনো দাঁড়ায়
রিপুদল প্রতিকূলতায়........?
আমি যে তোমায়
সেই মোহিনী ধারায়
অন্তরের অন্তরায়
গোপন কুঠায়
বসিয়েছি তোমায়
শুধু ওই ভালবাসায়।
আর তাই
এতো পসরায়
রাঙাই
তোমায়
জানাই
তোমায়
তুমি অক্ষয়
তোমার সীমা নাই
তোমার লয় নাই
তাই তো বারে বারে আমায়
কে যেনো তোমার বার্তা শুনায়
মোর আন্তঃ মোহনায়।
ওগো তোমায়
আত্মার আত্মায়
দিয়েছি গো ঠাই
তবুও কেনো ভয়
সুধাও না আমায়
মন বারে বারে কয়
কেউ যদি নিয়ে যায়
হরণ করে তোমায়
বলো তখনায়
তোমা পাবো কোখায়...
আমি যে অপারকতায়
মরিবো ধরণী তলায়।
আবার ভাবায়
মোর মনঃ বাঞ্ছায়
না, না, তা কিকরে হয়
তোমার ভালবাসায়
সাক্ষী যে রয়ে যায়
হাজার বৃক্ষ-তরু-লতায়।
যদি তবুও নিতে চায়
আমা হতে তোমায়
কখ্‌খনায়____
ছুটে যাবো দূর... অজানায়
যেথায় শক্র মুক্ত হওয়া যায়।
তোমার রূপচ্ছটায়
আঁধারে আলোক বিলায়
তাই দূর চাঁদ মামায়
ডেকে বলে তোমায়
হার মানতে যে হয়
তোমার পদ তলায়।
ধরণী যে গীতি গায়
সেথাও দেখি তোমায়
তরঙ্গ মালায়
তোমায় নাচায়।
ওগো অব্যয়
ওগো অক্ষয়
তোমায় জানি নাই লয়
তবুও কেনো সংশয়...?
এই ব্যাকুলতায়
ক্ষণে কাঁদায়
ক্ষণে হাসায়
আবার কখনো মাতায়
উত্তালতায়।
মোর বীণায়
যে সুর শোনা যায়
সে সুরের মূর্ছণায়
একই গীতি গায়
শুধু পৃথক দেখায়
বাহ্যিক বীণায়।
দামিনী যেথায়
চমকিয়ে যায়
যামিনী যেথায়
বিদায় জানায়
উদিলা সেথায় কীরিট মাথায়
গৌড়ী যেথায়
তুচ্ছ হয়ে যায়।
ওগো তুমি আমায়
দিয়েছো অভয়
তাই তো সুধায়
মম আত্মায়।
ওই দেখো তাই
অম্ল শাখায়
দোয়েল পাখনায়
ডাকছে তোমায়____
ডাকছে দেখো ওই টুনটুনিটায়
নেচে নেচে পাতায় পাতায়
তাই অস্থিরতায়
আকুলতা বাড়ায়
মন ওড়ে যায়
তোমার বাসায়
শুধু পাওয়ার আশায়।
 
৬/১১/১৯৯৭ ইং


জবাব চাই

স্বাধীনতা তুমি কি স্বাধীন, নাকি নও...
যদি স্বাধীনই হতে, তবে কেনো
আজো দেখতে হয় তাঁজা রক্ত?
সে তো পেড়িয়ে এসেছি, দিয়েছি অনেক অনেক
টকটকে লাল রক্ত।
যে রক্তে ছিলোনা কোনো কলঙ্কের আঁচ।
সে রক্তিম নদী পার হয়ে তো তীরে এসেছি
আমাকে জবাব দাও____
আজো কেনো সন্তানহারা মায়ের
ক্রন্দন শুনতে হয়...?
প্রাণ তো দিয়েছি অনেক, তবে
আজো কেনো প্রাণ দিতে হয়
বেঁচে থাকতে হয় সংগ্রাম করে, লড়াই করে
কেনো? আমরা তো স্বাধীন
আজ কন্ঠে থাকবে
বিজয়ের গান কিন্তু আমি সে গান
গাইতে পারিনা কেনো?
কেনো? কেনো?
জবাব দিতে পারবে কি কেউ?

০২/১২/১৯৯৫ ইং


অনাগত অতিথি

কবে কোন্‌ ক্ষনে-
কোন্‌ অজানা লগণে
আসিবে হে অনাগত অতিথি-
মোর এ হৃদয়-গগণে!

শুনিয়াছি-
আসিবে একদিন
মোর এ ভাঙ্গা ঘরে,
আমি দ্বীন-হীন
তাই তো কাঁদিয়া ফিরি
সেই লগণের ডরে।

শুনিয়াছি-
সেই দিন আকাশে-বাতাসে
বাজিবে শুধু তব নূপুরের ধ্বনি
শিহরিয়া ওঠে মোর দেহ-মন
কবে আসিবে সেই বিদায়ী-অনুখন
ত্রাসে কাঁপে মোর ধমনি।

হে অতিথি-
জানিনা আমি
কবে আসিবে তুমি,
ভয়ে মরি, কী জানি হয়___
জানে শুধুই মম অন্তরযামী।

শুধু জানি আমি
তোমার সেই আগমনি
ভীষণ...... ভীষণ.....
যা না পারা যায়
ভাষায় ব্যক্ত করিবারে
জানে শুধু সেই...
পরম-ঈশ্বর, যেজন সৃজন করিয়াছেন মোরে।

বিষধর কালে
কামড় বসাইয়া দিলে
যেমন কাতরায় কত-শত ভঙ্গিমায়,
তার চাইতে সহজ্রগুণ
বিদগ্ধ কুন্ডের জ্বলন্ত আগুন
সে দাহন অজানা.... ভীবিষীকাময়।

তাং ২৮/০৫/১৯৯৮ ইং


এ ইতিহাস ম্লান হবার নয়


শুধু তোমারই জন্যে লড়েছিলাম মাগো
৫২‌’র আন্দোলনে
তোমার বুকে শান্তিতে ঘুমাবো বলে
আমি লড়েছিলাম, সংগ্রাম করেছিলাম অকাতরে
৬২’র শিক্ষা আন্দোলন
৬৬’র ছয় দফা
৬৯’র গণ অভ্যুথ্থান
এসবই মাগো কেবল
তোমাকে পাওয়ার জন্যে।

কিন্তু ওরা তোমার বুকে শান্তিতে ঘুমুতে দিলনা
৭১’র সেই কালো রাত্রিতে
ওরা নিষ্ঠুর ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়লো
নিরস্ত্র বাঙ্গালীর ওপর,
কেঁড়ে নিলো লাখো লাখো
চঞ্চল দামাল ছেলে।
ওরা মা পাষান, তাই ওরা কাউকে ক্ষমা করেনি
শিয়াল-কুকুরের মতো ভক্ষন করেছিলো
শত শত মা বোনের পবিত্র ইজ্জত।

আমাদরে পঙ্গু করার তরেও
চেষ্টার ক্রটি করেনি বিন্দুমাত্রও
রাতের আঁধারে, টেঁনে-হিঁছড়ে
চোখ বেঁধে হত্যা করেছিল দেশের
জ্ঞানী-গুনী বুদ্ধিজীবীদেরকে।
এই ইতিহাস ভুলে যাবার নয়,
এই ইতিহাস কভু ম্লান হবার নয়
জানাতে হবে নতুন দ্বারে দ্বারে
স্মৃতির পাতায় রাখতে হবে বাঁধাই করে।

(ফেব্রয়ারি ১৯৯৫ )


টাকারে ভাই সোনার চাঁন

টাকারে ভাই সোনার চাঁন
কোথায় রে তুই নদের চাঁন
আয়না রে চাঁদ আমার ঘরে
ধান-দূর্বায় নেবো বরে
হায় হায় করে খুঁজে ফিরি
পাইনা খুঁজে তোর দেখারই
টাকা-টাকা টাকারে ভাই
বলনা তোকে কোথায় যে পাই
তুই বিহনে উপোস থাকি
দয়া করে আয় না দেখি
ডাকি তোরে বারম্বার
আয় না কুটুম্ব আমার
শিরনি দেবো পাঁচ সিকার
হোস যদি ভাই তুই স্মীকার
আয় নারে ভাই দয়া করে
খাওন দেবো পেট্টা ভরে
দেখিস মুই নই রে কৃপণ
আদর দেবো নিখুঁদ-নিপুন
টাকারে ভাই বেজার হয়ে
থাকিস নারে ঘুমটা দিয়ে
দেখ্‌ মোরে রাগাস্‌নি যে
রাগলে মুই নিজেই নিজে
হানবো ছুরি বক্ষ মাঝে
বল্‌ একাজ কি করা সাজে?
তাই ভাই ডাকি তোরে
মধুর সুরে আদর করে
কতদিন তুই আসিস্‌ নারে
তোর তরে মোর পরান পুড়ে
তুই রাখিস কি আমার খবর
ভুখা আমি  বেজায়.. জবর
ডাকি করে জোড়-হস্ত
ডাকি তোরে প্রাণের দোস্ত
মরি মরি গেলাম মরি
পড়বে এবার গলায় দড়ি
রাগ-অনুরাগ যা-ই বুঝিস্‌
তুই না এলে আমি ফিনিশ
তোর জন্যে জীবন ভরে
লাঞ্ছনা-বঞ্ছনা মোরে
কাতর করে রাখছে ধরে
তাই তো আমি ডাকি তোরে।
তুই এল সব যাতনা
চিন্তে বালাই তাও রবে না
রাজার আসন রাজার বসন
না না তা করিনা প্রাণে পোষন
দোস্তি বলে ডাকি তোকে
হর্ষ আমুদ চোখে মুখে
ওরে, তর সয়না দিসনে সাজা
খাইতে দেবো চাউল ভাজা
আহা কতই না লাগে মজা
খাইতে গেলে তিলের থাজা
সবই দেবো তুই এলে
তাড়াতাড়ি আয় না চলে
দেখ্‌, পোলাউ-কোরমা ফিরনি রাধি
বারে বারে তোরেই সাধি
দেরি কেন রে কুঁড়ে আতুর
তোর কি বাড়ি ধানের বতর?
আয় রে আয় লক্ষ্মী সোনা
করিস নারে মোরে মানা
আয়লে দিখিস্‌ আর করবো না
যন্ত্রনা আর কানাকানা

আয় রে আমার টাকার কুঁড়ি
নিসনে আমার জীয়ন কাড়ি
এতো গরব কেনে করিস
মায়া-দয়া একটু রাখিস
পাষান হিয়া কেনে রে তোর
আমার তরে খুলিস না দ্বোর
কপাট মারি পালাস হে চোর
তেন্দর তুই ছেচড়া খচ্চর
আহলাদ করে ডাকি তোরে
তুই থাকিস পুবে ঘুরে
কী রে বলবো তোকে !!
ঘৃণা হয় তোর আচার দেখে
স্বাথপর তুই----
তোর বিচার নাই
কূল হারিয়ে পাইনা যে ঠাঁই
ঘুরলি নারে টাকার চাকা
আমার তবে বিশ্ব ফাঁকা
নাইরে বুঝি তোর দর্শন
তপ্ত বুকে চলছে কর্ষন
নিঠুর তুই পাষান হিয়া
জ্বালাইলিরে না আসিয়া
তোর জনম কি এই ভবেতে
যন্ত্রনা আর বিষ ঢালিতে??

২ জুলাই ১৯৯৮, সোমবার।

সাভার বার্তায় প্রকাশিত কিছু কবিতা নিচে দেয়া হলো_______________

১৯৯৯ সালের স্থানীয় পত্রিকা সাভার বার্তার ৭/৪ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় "আমার ভালবাসা"

এই কবিতাটি প্রকাশিত হয় সাভার বার্তার ৪র্থ বর্ষ পূর্তি ৬/১ সংখ্যায় (১৯৯৮)

১৬ই ডিসেম্বরে সাভার বার্তার ৬/৫ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়  আমার "বিজয় উল্লাসে" কবিতাটি

এই কবিতাটি সাভার বার্তার ৫/৪ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে

২০০০ সালের শুরুতে বার্তার ৭/৫ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় এই কবিতাটি

এই কবিতটি প্রথম প্রকাশিত হয় সাভার কলেজের ইতিহাস বিভাগের দেয়ালিকায় এরপর সাভার বার্তার ৮/২২ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে

জাগ্রতকণ্ঠ নামে সাভার থেকে আরেকটি পাক্ষিক পত্রিকা প্রকাশিত হতো। ওই পাক্ষিকের ১/৪৩-৮৮ (১৯৯৮)  সংখ্যায় প্রকাশিত হয় এই কবিতাটি।

এই কবিতাটি ২০০০ সালে প্রকাশিত হয় সাভার বার্তার ৮/১০ সংখ্যায়