শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১০

বিবেকের কাছে জিজ্ঞাসা ০১

প্রশ্ন অনেক কিন্তু উত্তর কোথাও নেই। উত্তরহীন পরীক্ষার খাতা, ফলাফল শূন্য। আমাকে হয়তো বা বলবেন পাগল নয় তো বলবেন দেশদ্রোহী নইলে বলতে পারেন রাজাকার। কিন্তু যা বাস্তব তাই শুধু আলোচনা।

লাল-সবুজের পতাকার দেশের পাসপোর্ট হাতে নিয়ে ঘুরি বিদেশ বিভূঁই। কাছে থেকে দেখেছি আর দূরে থেকেও একই ভাবে দেখছি কিন্তু দেখাটা একই ভাবে দেখছি পার্থক্য কিছুই খুঁজে পাইনি। ভূমিকায় সময় গড়াবো না মূল পয়েন্টে আসি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার আরো ছয় বছর পর জম্ম নিয়েছিলাম সোনার বাংলাদেশে। এই সেই মাটি যেখানে একদিন সোনা ফলতো কিন্তু আজ সেই সোনা ফলা মাটি পুঁড়ে খাঁক হয়ে গেছে। এখানে হিরোশিমা-নাগাশিকার চেয়ে ভয়ংকর রাশায়নিক পদার্থের নির্ঝাস বাহির হচ্ছে প্রতিটা দিনের শুরুতে। সুতরাং কার দায়িত্ব ছিলো স্বাধীনতাটাকে অক্ষত রাখার? পুরো দেশ শহীদ মিনারে ঢেঁকে দিয়ে কি লাভ যেখানে শহীদ মিনারের প্রশ্চাতে কোনো মুক্তিযু্দ্ধা ধোকে ধোকে মরনের দিন গুনছেন যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো প্রাণের মায়া ছেড়ে! জনতাকে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছুই দেখিনা। স্বাধীনতা উত্তর এই দেশটিতে যারাই দেশ পরিচালনার ভার গ্রহন করেছিল এবং করছে মূলত কেউ-ই দেশটাকে ভালবাসতে রাজি ছিলনা বা চেষ্টাও করেনি। দেশটাকে কেউ ভালবাসেনি ! শুধু শুধু সাধারন জনতাকে ফাঁকি দিয়েছে হাতির পাঁচ পা দেখিয়ে।

দুঃখ হয় দেশের হাল দেখে। সইতে পারিনা তাই বার বার দেশটির কথা ভাবি। কারন এই দেশে যে জন্মেছিলাম একদিন। এটা যে আমার মায়ের দেশ। কোথায় ফাঁকিঝুঁকি নেই? ঘুন পোঁকার মত করে নিভৃতে নিরলস ভাবে কেঁটে খাচ্ছে আমার আপনার দেহের হাঁড়। এরা কারা? এরা আর কেউ না ক্ষমতাসীন সরকার! কুলুর বলদের মত চোখ বাঁধা আমাদের, এ ঘানি টেনে যাচ্ছি তো যাচ্ছিই। ’৭১ থেকে ২০১০ দীর্ঘ প্রায় ৪০টি বছর, একটি দেশ পরিপূর্নতা পেতে এই সময় যথেষ্ঠ। কিন্তু পাইনি আমরা। কেনো? কেনো পাইনি? সমস্যার অন্ত নেই। মূল কারন একটাই, তাহলো নীতি-নৈতিকতাকে প্রাধান্য দেয়নি কোন সরকারি-বেসরকারি ক্ষমতাসীন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। যে যেভাবে পেরেছে এবং পারছে শুঁষে নিচ্ছে নিজ স্বার্থটাকে। অর্থের পাহাড় গড়ে ধনী-গরিবের বিশাল বৈষম্য সৃষ্টি করছে আমাদের দেশের ক্ষমতাসীন এক শ্রেণীর স্বার্থপরায়ন লোক। কোথাও কোনো নিয়ম শৃঙ্খলার তোয়াক্কা নেই। পুলিশ প্রসাশন দেশটির জন্য নিরর্থক। নিরাপত্তা আর শৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যবহৃত হয় দেশের সর্বোচ্চ শক্তি। হাস্যকর হলেও তা সত্য। কারন, পুলিশরা যেখাবে ব্যর্থ সেখানে নিয়োগ করা হচ্ছে আর্মি, বিডিআর কিংবা র্যাপ বাহিনী। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, তারাও কি সততা ধরে রাখেতে পারছেন? উত্তর পাওয়া যায় সন্দেহজনক। কারন, দেখা যায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে দেশের শীর্ষ শক্তিরাও কুলশিত হয়ে যায় জন্মদোষেই।

উদাহরন সরূপ বলছি পাঠকবৃন্দ, এবার দেশে গিয়ে ঢাকার আগারগাও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দেখেছি স্বচক্ষে, আনসার পুলিশের পাশাপাশি আর্মিদের নামানো হয়েছে নিরাপত্তা আর দুর্নীতি এড়ানোর কাজে। কিন্তু কথায় আছে না, যাকে দিয়ে তাড়াবো ভূত সেই দেখি মেসততো ভূত।এদের কাছে গিয়েও ভাল ব্যবহার এবং দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ দেখতে পাইনি। এটা শুধু উদাহরন মাত্র, এমন হাজার হাজার দোষের কথা আঙ্গুল তোলে দেখানো যাবে প্রতিদিনের দৈনন্দিন কর্মকান্ডে যা ঘটে থাকে স্বাভাবিক ভাবে এবং আম জনতাকে যা সহ্য করতে হয় প্রকৃতির নিয়মানুসারে।

চলবে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন