শনিবার, ২১ মে, ২০১১

আমার বয়স পঞ্জিকা


মো. ফারুক হোসেন

আমার প্রকৃত জন্ম তারিখঃ- ১৪ এপ্রিল ১৯৭৬ খ্রি.


বয়স            তারিখ           সাল

০০ বছর      ১৪ এপ্রিল     ১৯৭৬

০১ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৭৭

০২ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৭৮

০৩ বছর      ১৪ এপ্রিল     ১৯৭৯

০৪ বছর      ১৪ এপ্রিল     ১৯৮০

০৫ বছর      ১৪ এপ্রিল     ১৯৮১

০৬ বছর      ১৪ এপ্রিল     ১৯৮২

০৭ বছর      ১৪ এপ্রিল     ১৯৮৩

০৮ বছর      ১৪ এপ্রিল     ১৯৮৪

০৯ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৮৫

১০ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৮৬

১১ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৮৭

১২ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৮৮

১৩ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৮৯

১৪ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৯০

১৫ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৯১

১৬ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৯২

১৭ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৯৩

১৮ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৯৪

১৯ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৯৫

২০ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৯৬

২১ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৯৭

২২ বছর       ১৪ এপ্রিল     ১৯৯৮

২৩ বছর      ১৪ এপ্রিল     ১৯৯৯

২৪ বছর       ১৪ এপ্রিল     ২০০০

২৫ বছর       ১৪ এপ্রিল     ২০০১

২৬ বছর       ১৪ এপ্রিল     ২০০২

২৭ বছর       ১৪ এপ্রিল     ২০০৩

২৮ বছর      ১৪ এপ্রিল     ২০০৪

২৯ বছর       ১৪ এপ্রিল     ২০০৫

৩০ বছর      ১৪ এপ্রিল     ২০০৬

৩১ বছর       ১৪ এপ্রিল     ২০০৭

৩২ বছর      ১৪ এপ্রিল     ২০০৮

৩৩ বছর      ১৪ এপ্রিল     ২০০৯

৩৪ বছর      ১৪ এপ্রিল     ২০১০

৩৫ বছর      ১৪ এপ্রিল     ২০১১

৩৬ বছর      ১৪ এপ্রিল     ২০১২

৩৭ বছর      ১৪ এপ্রিল     ২০১৩

৩৮ বছর      ১৪ এপ্রিল     ২০১৪

৩৯ বছর      ১৪ এপ্রিল     ২০১৫

৪০ বছর      ১৪ এপ্রিল     ২০১৬

৪১ বছর       ১৪ এপ্রিল     ২০১৭

৪২ বছর       ১৪ এপ্রিল     ২০১৮

৪৩ বছর      ১৪ এপ্রিল     ২০১৯

৪৪ বছর      ১৪ এপ্রিল     ২০২০

৪৫ বছর      ১৪ এপ্রিল     ২০২১

৪৬ বছর       ১৪ এপ্রিল     ২০২২

৪৭ বছর      ১৪ এপ্রিল     ২০২৩







শনিবার, ৭ মে, ২০১১

বিবেকের কাছে প্রশ্ন- ২

চেতনতা মূলত কাউকে শেখানো যায়না। এটা স্রেফ উপলব্ধির বিষয়। আর এ বিষয়টি মানা বা না মানা তার বিবেক তাড়িত বিষয়বস্তু। জানা জিনিসটাকে বাস্তবে রূপ দেয়াই সার্থকতা। সচেতনশীল হতে হলে কাউকে বিশেষগুণে গুণান্নিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। এখানে বলিষ্ঠভাবে একটি বিষয় কাজ করে আর তা হলো সদইচ্ছা। একজন বিবেকবান মানুষ যিনি বোঝার ক্ষমতা রাখেন ভাল আর মন্দের পার্থক্য ওজন করতে পারেন তাকে কেবল ইচ্ছেশক্তি জাগ্রত করে নিজে কাজটি বাস্তবায়িত করতে হবে। মানুষ পৃথিবীর স্রেষ্ঠ জীব। তাকে একথা প্রথমে বিশ্বস করতে হবে। তার স্থানটি নিজের কাছে পরিস্কার করে বুঝে নিতে হবে। জন্মের পর থেকে বোঝশক্তি উদয় হওয়া পর্যন্ত সময়-কাল বাদ দিয়ে শুরু করুন একজন মানুষের যাত্রা। এই যাত্রা সজ্ঞান থাকা পর্যন্ত সীমানা করুন। মহান সৃষ্টিকর্তা যিনি তাঁর কুদরতে সৃষ্টি করেছেন মানুষ জাতি আর মানুষ জাতিকে এই মধ্যবর্তী কালীন সময়টুকু দিয়েছেন একটি পরীক্ষার বলয় হিসেবে। তাকে বুঝতে হবে আমি একজন ছাত্র। ছাত্র মানে শিক্ষার্থী। এখন এই শিক্ষা বা জ্ঞানার্জন করা এবং প্রতিদিন টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা তার একটি প্রধান কাজ এটা তাকে মনে প্রাণে স্মীকার করতে হবে। শুধু স্মীকার করে বসে থাকলে হবেনা তাকে বাস্তবে মাঠে নামতে হবে। এই বিশাল কাজটিই সদইচ্ছার আওতাবদ্ধ। এখন দেখা যাক স্ব ইচ্ছা দ্বারা ঘটিত কাজ কীভাবে সচেতনতায় এসে পড়ে। আমরা প্রতিদিন যে কাজগুলো ঘরে কিংবা বাহিরে করে থাকি সেই স্থানগুলো আমাদের কর্মস্থান হিসেবে চিহ্নিত করুন। ধরুন ঘরের কাজ- আপনার সামনে কলের পানিটা বালতি ভরে উপচিয়ে পড়ছে বা গ্যাসের চুলোটা বিনা কারণে জ্বলছে। আপনি জানেন দুটো জিনিসই অযথা ক্ষতি হচ্ছে। আপনি এও জানেন এই ক্ষতির কারণে আপনি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এমতাবস্থায় আপনি বিবেকবান হলে অবশ্যই এগিয়ে যাবেন এবং রুখে দাঁড়াবেন।

শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১০

বিবেকের কাছে জিজ্ঞাসা ০১

প্রশ্ন অনেক কিন্তু উত্তর কোথাও নেই। উত্তরহীন পরীক্ষার খাতা, ফলাফল শূন্য। আমাকে হয়তো বা বলবেন পাগল নয় তো বলবেন দেশদ্রোহী নইলে বলতে পারেন রাজাকার। কিন্তু যা বাস্তব তাই শুধু আলোচনা।

লাল-সবুজের পতাকার দেশের পাসপোর্ট হাতে নিয়ে ঘুরি বিদেশ বিভূঁই। কাছে থেকে দেখেছি আর দূরে থেকেও একই ভাবে দেখছি কিন্তু দেখাটা একই ভাবে দেখছি পার্থক্য কিছুই খুঁজে পাইনি। ভূমিকায় সময় গড়াবো না মূল পয়েন্টে আসি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার আরো ছয় বছর পর জম্ম নিয়েছিলাম সোনার বাংলাদেশে। এই সেই মাটি যেখানে একদিন সোনা ফলতো কিন্তু আজ সেই সোনা ফলা মাটি পুঁড়ে খাঁক হয়ে গেছে। এখানে হিরোশিমা-নাগাশিকার চেয়ে ভয়ংকর রাশায়নিক পদার্থের নির্ঝাস বাহির হচ্ছে প্রতিটা দিনের শুরুতে। সুতরাং কার দায়িত্ব ছিলো স্বাধীনতাটাকে অক্ষত রাখার? পুরো দেশ শহীদ মিনারে ঢেঁকে দিয়ে কি লাভ যেখানে শহীদ মিনারের প্রশ্চাতে কোনো মুক্তিযু্দ্ধা ধোকে ধোকে মরনের দিন গুনছেন যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো প্রাণের মায়া ছেড়ে! জনতাকে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছুই দেখিনা। স্বাধীনতা উত্তর এই দেশটিতে যারাই দেশ পরিচালনার ভার গ্রহন করেছিল এবং করছে মূলত কেউ-ই দেশটাকে ভালবাসতে রাজি ছিলনা বা চেষ্টাও করেনি। দেশটাকে কেউ ভালবাসেনি ! শুধু শুধু সাধারন জনতাকে ফাঁকি দিয়েছে হাতির পাঁচ পা দেখিয়ে।

দুঃখ হয় দেশের হাল দেখে। সইতে পারিনা তাই বার বার দেশটির কথা ভাবি। কারন এই দেশে যে জন্মেছিলাম একদিন। এটা যে আমার মায়ের দেশ। কোথায় ফাঁকিঝুঁকি নেই? ঘুন পোঁকার মত করে নিভৃতে নিরলস ভাবে কেঁটে খাচ্ছে আমার আপনার দেহের হাঁড়। এরা কারা? এরা আর কেউ না ক্ষমতাসীন সরকার! কুলুর বলদের মত চোখ বাঁধা আমাদের, এ ঘানি টেনে যাচ্ছি তো যাচ্ছিই। ’৭১ থেকে ২০১০ দীর্ঘ প্রায় ৪০টি বছর, একটি দেশ পরিপূর্নতা পেতে এই সময় যথেষ্ঠ। কিন্তু পাইনি আমরা। কেনো? কেনো পাইনি? সমস্যার অন্ত নেই। মূল কারন একটাই, তাহলো নীতি-নৈতিকতাকে প্রাধান্য দেয়নি কোন সরকারি-বেসরকারি ক্ষমতাসীন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। যে যেভাবে পেরেছে এবং পারছে শুঁষে নিচ্ছে নিজ স্বার্থটাকে। অর্থের পাহাড় গড়ে ধনী-গরিবের বিশাল বৈষম্য সৃষ্টি করছে আমাদের দেশের ক্ষমতাসীন এক শ্রেণীর স্বার্থপরায়ন লোক। কোথাও কোনো নিয়ম শৃঙ্খলার তোয়াক্কা নেই। পুলিশ প্রসাশন দেশটির জন্য নিরর্থক। নিরাপত্তা আর শৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যবহৃত হয় দেশের সর্বোচ্চ শক্তি। হাস্যকর হলেও তা সত্য। কারন, পুলিশরা যেখাবে ব্যর্থ সেখানে নিয়োগ করা হচ্ছে আর্মি, বিডিআর কিংবা র্যাপ বাহিনী। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, তারাও কি সততা ধরে রাখেতে পারছেন? উত্তর পাওয়া যায় সন্দেহজনক। কারন, দেখা যায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে দেশের শীর্ষ শক্তিরাও কুলশিত হয়ে যায় জন্মদোষেই।

উদাহরন সরূপ বলছি পাঠকবৃন্দ, এবার দেশে গিয়ে ঢাকার আগারগাও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দেখেছি স্বচক্ষে, আনসার পুলিশের পাশাপাশি আর্মিদের নামানো হয়েছে নিরাপত্তা আর দুর্নীতি এড়ানোর কাজে। কিন্তু কথায় আছে না, যাকে দিয়ে তাড়াবো ভূত সেই দেখি মেসততো ভূত।এদের কাছে গিয়েও ভাল ব্যবহার এবং দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ দেখতে পাইনি। এটা শুধু উদাহরন মাত্র, এমন হাজার হাজার দোষের কথা আঙ্গুল তোলে দেখানো যাবে প্রতিদিনের দৈনন্দিন কর্মকান্ডে যা ঘটে থাকে স্বাভাবিক ভাবে এবং আম জনতাকে যা সহ্য করতে হয় প্রকৃতির নিয়মানুসারে।

চলবে...

শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০০৯

কেউ সুখি নয়...

কেউ সুখি নয়-
সবাই-
যার যার স্থানে
স্বতন্ত্রভাবে
অস্থিরতার পাঞ্জায়
লড়ছে প্রতি ঘন্টা।

শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০০৯

রসের হাড়ি

এলো শীত ফিরে
রসের হাড়ি নিয়ে
গ্রাম-বাংলার চিরচেনা
মধুর ছবি নিয়ে।
এসো বন্ধু আমার বাড়ি
খেতে দিবো রসের ক্ষির-
মিষ্টি-মধুর রসের কথায়
করিবো সমাদর।





ছবিটি নেয়া হয়েছে- দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে

সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০০৯

হৃদয়ে বাংলাদেশ


আমি দেখেছিলাম-
আঁকা-বাঁকা মেঠো পথ
নদীর কল্‌ কল ধ্বনী
শীতের কুয়াশাঘেরা ভোর
শিশির সিক্ত দুর্বা ঘাসের গালিচা
রাতে হুতুম পেঁচার ডাক
বাঁশের ঝাড়ে জোনাকিদের মৃদু আলো
আমি দেখেছিলাম-
অগ্রানে নবান্ন উতসব
পিঠা-পুলির পসরা
ভাঁপা পিঠা, রসের পিঠা
পুলি পিঠা, রাত জেগে বানানো সেমাই পিঠা-
নাড়ার বেড়ার ফাক দিয়ে
শীতের বাতাসেও গাযের বধু
মনে মধু লয়ে বানাইত
আহা নাম না জানা আরো কত পিঠা !
আমি দেখেছিলাম-
প্রীতি ভালবাসা
কোনো আয়োজনে
দলে দলে আসতো ইষ্টি-কুটুম
নায়রে আসতো বধু বাপের বাড়ি
নেমন্তন্য রইলো মশয় আসবেন কিন্তু সন্ধ্যায়-
আহ ! আমি ছিলামই সেথায়-
শীতের সকালে এক হাটু কাদা লয়ে
মাছের খালই হাতে ঝুলিয়ে
আনন্দে আটখানা--
হৈ চৈ করে মাতিয়েছি পুরো বাড়ি।
আমি দেখেছিলাম
এ ছবি--
বাংলার মাঠ-প্রন্তরে
মানুষের অন্তরে
তাই--
আজো মনে পড়ে সেই স্মৃতি
হৃদয় গহীন ঘরে....
*
*
*
*
তাং ২৩/১১/০৯, রাত্রি-১১টা ২৫মি. দুবাই