রসের হাড়ি

এলো শীত ফিরে
রসের হাড়ি নিয়ে
গ্রাম-বাংলার চিরচেনা
মধুর ছবি নিয়ে।
এসো বন্ধু আমার বাড়ি
খেতে দিবো রসের ক্ষির-
মিষ্টি-মধুর রসের কথায়
করিবো সমাদর।





ছবিটি নেয়া হয়েছে- দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে

হৃদয়ে বাংলাদেশ

আমি দেখেছিলাম-

আঁকা-বাঁকা মেঠো পথ

নদীর কল্‌ কল ধ্বনী

শীতের কুয়াশাঘেরা ভোর

শিশির সিক্ত দুর্বা ঘাসের গালিচা

রাতে হুতুম পেঁচার ডাক

বাঁশের ঝাড়ে জোনাকিদের মৃদু আলো

আমি দেখেছিলাম-

অগ্রানে নবান্ন উতসব

পিঠা-পুলির পসরা

ভাঁপা পিঠা, রসের পিঠা

পুলি পিঠা, রাত জেগে বানানো সেমাই পিঠা-

নাড়ার বেড়ার ফাক দিয়ে

শীতের বাতাসেও গাযের বধু

মনে মধু লয়ে বানাইত

আহা নাম না জানা আরো কত পিঠা !

আমি দেখেছিলাম-

প্রীতি ভালবাসা

কোনো আয়োজনে

দলে দলে আসতো ইষ্টি-কুটুম

নায়রে আসতো বধু বাপের বাড়ি

নেমন্তন্য রইলো মশয় আসবেন কিন্তু সন্ধ্যায়-

আহ ! আমি ছিলামই সেথায়-

শীতের সকালে এক হাটু কাদা লয়ে

মাছের খালই হাতে ঝুলিয়ে

আনন্দে আটখানা--

হৈ চৈ করে মাতিয়েছি পুরো বাড়ি।

আমি দেখেছিলাম

এ ছবি--

বাংলার মাঠ-প্রন্তরে

মানুষের অন্তরে

তাই--

আজো মনে পড়ে সেই স্মৃতি

হৃদয় গহীন ঘরে....

*

*

*

*

তাং ২৩/১১/০৯, রাত্রি-১১টা ২৫মি. দুবাই

তোমাদের কোনো দোষ নেই

মূলত তোমাদের কোনো দোষ নেই।

আমি বার বার ভুলে যাই- দিনগুলি মোর অনেকদিন আগে ফেলে এসেছি।

পথের খুজে পথ চলতে চলতে অনেক নতুন-পুরোনো মূখ দেখেছি।

দেখেছি নদীর জোয়ার-ভাটা।

দেখেছি দিনের আলো।

পূর্ণিমার চাঁদ দেখেছি, দেখেছি তার রূপালী জোস্না।

ভাঙন দেখেছি যেমন করে, ঠিক তেমন দেখেছি গড়তেও।

কলি থেকে ফুল সেও দেখেছি, শুকেছি তার অপূর্ব সৌরভ।

এতকিছুর পরও বুঝিনা কেনো আটকে পড়ি ফেলে আসা সেই আঠারো কিংবা উনিশে।

পরিবর্তন-পরিবর্ধন কতই না দেখলাম-

রাজনৈতিক,সাংসারিক,সামাজিক আরো কত কি;

কিন্তু আমি কেনো এখনো সেই ঘাটেই তরি বেধে আছি?

আড্ডার টেবিলে বসলে ভুলে যাই গরম চা খানা কথন ঠান্ডা হয়ে গেছে।

বুঝতে পারি ইংগিত-

ওঠতে হবে এক্ষনই- কারন,

শ্রুতা হয়ে অবশিষ্ট আর কেউ নেই।

অনেক কথা বলি তাও শেষ হয়না মূল কথাটা,

কি সে কথা, কি সে আলাপন, প্রতিদিন-প্রতিক্ষন তারপরও রয়ে যায় বাকিটা অব্যক্ত !

নতুন মুখ

নতুন একটি মুখ

নতুন করে মমতা,

নতুন ভালবাসা-

নতুন করে বাধেঁ বাসা;

নতুনের আগমনে-

পুরোনোরা কোথা যাবে?
নতুন আর নবীন

পুরোনোরা প্রবীন,

পুরোনো অভিজ্ঞতায়

দীপ্ত হবে নবীন।

এসো সব নবীন

হেয় নয় প্রবীন

প্রবীনের আলো দিয়ে

এনে দিই সুদিন।